ভূমিকা

image-not-found

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ সকল প্রশংসা মহান রাব্বুল আলামীনের জন্য, যিনি গোটা মানবজাতির কল্যাণ ও হিদায়াতের জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থ আল কুরআন অবতীর্ণ করেছেন। অসংখ্য দূরূদ ও সালাম বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী হযরত মুহাম্মদ (সা:) এর উপর, যিনি ইলমে দ্বীনের মাধ্যমে অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং হতাশায় নিমজ্জিত বর্বর জাতিকে আদর্শ মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন।

প্রকৃতপক্ষে একজন মুসলমানকে অবশ্যই কুরআনুল কারীম ও সুন্নাতে রাসূল (স.) সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান অর্জন করতে হয়। পাশাপাশি আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিল্পকলা, ভাষা ও সাহিত্যে তথা সকল বিষয়েই পারদর্শী হওয়া প্রতিটি মুসলমানের জন্য অপরিহার্য। বস্তুত, সারা জীবনই জ্ঞান অন্বেষণ আবশ্যক হলেও জীবনের শুরুতে তথা প্রাথমিক শিক্ষার সময়েই এর মজবুত ভিত্তি তৈরি করতে হয়। কারণ, প্রাথমিক পর্যায়ে ফাউন্ডেশন দুর্বল হলে সারা জীবনেও তা মজবুত করা সম্ভব নয়। তাই আমাদের কোমলমতি শিশুদেরকে আল্লাহভীরু, ধার্মিক, পরহেজগার, আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতন, আধুনিক উত্তরাধুনিক বিশ্ব নেতৃত্বের গুনাবলী সম্পন্ন প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলে ইসলামকে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং বিজয়ী আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার মত যোগ্য গড়ে তোলার প্রত্যয় আন-নূর একাডেমি'র অগ্রযাত্রা।

সভাপতির বাণী

image-not-found

মানব জাতির সূচনা লগ্ন থেকে প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ প্রতিনিয়ত জ্ঞান ও কৌশল আয়ত্ব করে চলছে। আর শত সহস্র বছরের সঞ্চিত ও অর্জিত জ্ঞান শেখানো হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। যুগের প্রয়োজনে মানবের কল্যাণে সমাজ হিতৈষী ব্যক্তিরা কখনো কখনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এমনিই ভাবেই দক্ষ, অভিজ্ঞ, জ্ঞানে সু-গভীর ও বিদ্যানুরাগী এক মহাপুরুষ মরহুম অধ্যাপক মাওলানা মোঃ ইয়াছীন সাহেবও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে দক্ষ, যোগ্য, আদর্শ ও সুনাগরিক রূপে গড়ে তোলার অভিপ্রায় নিয়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায়, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন সাতানী ইউনিয়নস্থ মঙ্গলকান্দি গ্রামে প্রাকৃতিক ও সু-নিবিড় পরিবেশে মানসম্মত ধর্মীয় ও আধুনিক বিদ্যাপীঠ হিসাবে ১৯৭৯ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছেন মঙ্গলকান্দি ইসলামিয়া কামিল (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসা। সঠিক ধর্মীয়, নৈতিক শিক্ষা ও যুগোপযোগী আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি গুনগত ও মানসম্মত শিক্ষাদানে সক্ষম। বর্তমান সরকারের শিক্ষা বিষয়ক নির্দেশনা ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে শিক্ষকবৃন্দের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায়, শিক্ষার্থীদের নিরলস অধ্যয়ন ও অধ্যবসায় এবং অভিভাবক ও সংশ্লিষ্ট সকলের সম্মিলিত পরামর্শে প্রতিষ্ঠানটি ২০২২খ্রিস্টাব্দে কামিল (মাস্টার্স) শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে। আল্লাহ তা’য়ালা এই প্রতিষ্ঠানটিকে সঠিক ইসলাম ও আধুনিক বিজ্ঞান সম্মত শিক্ষার মারকায হিসাবে কবুল করে নিন। আমিন!!!

অধ্যক্ষের বাণী

image-not-found

২০২২ সালে প্রতিষ্ঠিত আন-নূর একাডেমীর লক্ষ ও উদ্দেশ্য হলো একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির একমাত্র উপায়। এই প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে কুমিল্লা জেলার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এটি প্রতিষ্ঠানের পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষার্থীদের ও সর্বোপরি এলাকাবাসীর সমন্বিত প্রচেষ্টার ফল। এলাকাবাসীর সেবার মনোভাব নিয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষা প্রসারে এবং কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করে এই প্রতিষ্ঠানটি ইতিমধ্যে একটি স্থান করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সার্বিক ক্ষেত্রে সফলতার জন্য মানুষের মাঝে এক ধরনের চাহিদা সৃষ্টি হওয়ায় তাঁরা তাঁদের কোমলমতি ছেলে মেয়েদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করাতে যথেষ্ট আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানের সাফল্যে অভিভাকগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ে বেশ প্রসংশনীয় অবদান রাখছে। সবকিছুর মূলে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের অটুট শৃঙ্খলা, শিক্ষকগণের একাগ্রতা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগণের মধ্যে সমন্বয় সাধন। শিক্ষার্থীদেরকে উপযুক্তভাবে গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমাদের রয়েছে বিরামহীন চেষ্টা ও পরিকল্পনা।